অর্গানিক উপায়ে যারা বাগান তৈরী করতে চান তারা সাধারনত প্রকৃতিকে মাপকাঠি ধরে ঠিক একই রকম করে বৈচিত্র্যময় এবং বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে থাকেন।প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো উদ্ভিদের মধ্যে বৃক্ষ, গুল্ম, একবর্ষজীবী এবং বহুবর্ষজীবী গাছ অন্তর্গত। এরকম বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা একসাথে বাগানে লাগালে প্রতিটি প্রজাতি প্রজাতিকে বেঁচে থাকতে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে।
যখন মনোকালচার এ মন কালচারের কৃত্রিমভাবে একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির গাছের বিশাল একটি কলোনি জন্মানো হয় তখন সেখানে উদ্ভিদগুলো বৈচিত্র্যময় গাছপালার প্রজাতির যে সুবিধা সেগুলো থেকে বঞ্চিত হয়। এক্ষেত্রে যখন পোকামাকড় এবং কীটপতঙ্গ একটি গাছ কে আক্রমণ করে তখন সেখান থেকে পুরো বাগানের বাকি গাছগুলোতে খুব সহজেই অসুখ ছড়িয়ে যায়। এবং এরপর গাছগুলো মাটি থেকে পুষ্টি উপাদান খুব দ্রুত গ্রাস করতে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে আমেরিকান বেদারু জাতীয় বৃক্ষের কথা। এই গাছটি পুরো দেশ জুড়ে রাস্তার পাশে লাগানো হয়েছিল। কিন্তু ১৯২০ সালের শেষের দিকে যখন ডাচ বেদারু অসুখ ছড়াতে শুরু করে তখন এই অসুখ এর বাহক গুবরে পোকা গাছ থেকে গাছের শিকড়ে উড়ে গিয়ে অসুখ ছড়াতে থাকে।
অনেক কৃষক এবং যারা বাগান করেন তারা একই জমিতে বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্যময় গাছ লাগানোর সুবিধা ভোগ করতে আগ্রহী। একই জায়গায় পরস্পরকে সহযোগিতা করে এমন গাছ লাগানো বাগান করার জন্য বেশ চমৎকার একটি দিক। আপনি আপনার বাগানে ত্রিপত্র জাতীয় গুল্ম লাগাতে পারেন। এটি বাতাস থেকে নাইট্রোজেন সংগ্রহ করে এর পুষ্টি উপাদান মাটিতে ছড়িয়ে দেয়। এছাড়াও আপনি বড় যে গাছ গুলোর পাতা অনেক বড় এবং নিচে ছায়া হয় সেগুলোর নিচে ছায়াতে জন্মায় এমন গাছ লাগাতে পারেন। এতে করে একই সাথে আপনার বাগানের জমি ঢেকে থাকবে এবং গাছের নিচের মাটিকে ক্ষয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে।